অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী দুই সন্তান দেশে ফেরার পরই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোর। শিল্পীর বন্ধু ড. দ্বীপকেন্দ্র নাথ দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুই সন্তান অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরলে তাদের বাবার মরদেহ সমাহিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত মরদেহ হিমঘরেই থাকবে। শিল্পীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, তার মায়ের পাশেই তাকে সমাহিত করা হবে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় মরণব্যাধি ক্যানসারের কাছে হার মেনে মারা যান এন্ড্রু কিশোর। তিনি রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাসায় ছিলেন। মৃত্যুর পর এদিন রাতেই তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হিমঘরে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, এন্ড্রু কিশোরের মেয়ে সঙ্গা (২৬) ও ছেলে সপ্তক (২৪) অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। সঙ্গার পড়াশোনা প্রায় শেষের দিকে। তার স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু একজন চিকিৎসক। তিনি রাজশাহীতেই বসবাস করেন।
গতকাল এন্ড্রু কিশোরের বোনজামাই ডা. প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস বলেন, ‘বর্তমানে শিল্পীর মরদেহ রাজশাহীর একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আগামীকাল সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে তার মায়ের পাশে সমাহিত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মৃত্যুর আগে এন্ড্রু কিশোর নিজেই বলে গেছেন তাকে যেন মায়ের পাশেই সমাহিত করা হয়। সেই ইচ্ছায়ই মায়ের পাশেই তাকে সমাহিত করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে সময় এখনো ঠিক করা হয়নি।’
সিঙ্গাপুরে ৯ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর এন্ড্রু কিশোর ১১ জুন রাত আড়াইটার একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরেন। তারপর ঢাকার বাসায় বেশকিছু দিন অবস্থান করে শরীরের অবস্থা বিবেচনায় ও কোলাহলমুক্ত থাকতে তিনি গ্রামের বাড়ি রাজশাহী চলে যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন এন্ড্রু কিশোর। তার বাবার নাম খিতিশ চন্দ্র বাড়ই। মা মিনু বাড়ই। রাজশাহীতেই কেটেছে এন্ড্রু কিশোরের শৈশব ও কৈশোর। গানের টানে মুক্তিযুদ্ধের পরপর তিনি রাজধানী ঢাকায় নিয়মিতভাবে বসবাস শুরু করেন।
Leave a Reply